একজন পটার বা কুমোর মাটি দিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য (যেমন, মগ ও হাঁড়ি-পাতিল) ও শখের জিনিস (যেমন, ফুলের টব ও মাটির গয়না) বানিয়ে থাকেন। বর্তমানে সিরামিক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এ পেশাজীবীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তবে কারুকাজ করা মাটির জিনিসের চাহিদা থাকায় এ কাজের মাধ্যমে ভালো আয় করা সম্ভব।
এক নজরে একজন পটার
বিভাগ: ইনফরমালপ্রতিষ্ঠানের ধরন: ক্ষুদ্র ব্যবসা
ক্যারিয়ারের ধরন: প্রযোজ্য নয়
লেভেল: প্রযোজ্য নয়
সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: প্রযোজ্য নয়
সম্ভাব্য গড় আয়: ৳৫,০০০ – ৳১০,০০০
সম্ভাব্য বয়স সীমা: প্রযোজ্য নয়
মূল স্কিল: মাটির মান সম্পর্কিত প্রাথমিক ধারণা, ফার্নেস ব্যবহারের দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: ডিজাইন ও মাপ বোঝার ক্ষমতা, রংয়ের ব্যবহার জানা
পটারের পেশা সম্পর্কিত প্রশ্ন
একজন পটার কোথায় কাজ করেন?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে পটাররা নিজেদের দোকান খুলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। ফুল ব্যবসায়ীদের কাছে টব আর শৌখিন জিনিসের ব্যবসায়ীদের কাছে কারুকাজ করা মাটির জিনিস সরবরাহ করে থাকেন তারা।
একজন পটার কী ধরনের কাজ করেন?
- মাটির জিনিস তৈরির জন্য প্রাথমিক নকশা বানানো;
- নির্দিষ্ট ধরনের মাটি ও উপযুক্ত পরিমাণ পানি মিশিয়ে কাদামাটির মিশ্রণ তৈরি করা;
- কাদামাটির মিশ্রণকে নির্দিষ্ট আকার ও আকৃতি দেয়া (এ কাজে বিশেষ ধরনের চাকা ব্যবহার করেন পটাররা);
- নির্মিত জিনিসকে ফার্নেস বা ওভেনে ঢুকিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পোড়ানো;
- মাটির জিনিসকে পোড়ানোর পর রং করা।
একজন পটারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রয়োজন নেই।
অভিজ্ঞতা: প্রয়োজন নেই।
একজন পটারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- মাটির মান সম্পর্কিত ধারণা;
- কাদামাটির মিশ্রণ তৈরিতে দক্ষতা;
- ফার্নেস বা ওভেন ব্যবহারে দক্ষতা (যেমন: তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ);
- নকশা ও নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী কাদামাটির মিশ্রণকে নির্দিষ্ট আকার ও আকৃতি দানে দক্ষতা;
- রং ব্যবহারে দক্ষতা;
কোথায় পটারির কাজ শেখা যায়?
পটারির কাজ শেখার জন্য আমাদের দেশে আনুষ্ঠানিক কোন শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। সাধারণত মাটির জিনিস প্রস্তুতকারী দোকান থেকে আগ্রহীরা কাজ শিখে নেন।
একজন পটারের মাসিক আয় কেমন?
মাটির জিনিস বিক্রির উপর একজন পটারের মাসিক আয় নির্ভর করে। সাধারণত গাছের চারা ব্যবসায়ী কিংবা শৌখিন জিনিস বিক্রয়কারী কারো সাথে কাজ করলে আয় বাড়ানো সম্ভব।