কম পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে ফুলের ব্যবসা বেশ লাভজনক। আপনি যদি এ ব্যবসায় আসতে চান, তাহলে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জেনে নিন এ লেখায়।
ফুলের ব্যবসার ধরন
সাধারণত বিয়ে, পারিবারিক অনুষ্ঠান, মেলা-উৎসব, বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, জনসভা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালনের জন্য ফুলের প্রয়োজন পড়ে। এ ফুলের যোগান দেবার কাজ করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ফুলের পাশাপাশি পাতাও বিক্রি করে থাকেন তারা। যেমনঃ বিয়ের স্টেজ সাজানোর ক্ষেত্রে কামিনী পাতার চাহিদা রয়েছে।
পাইকারি ও খুচরা – দুইভাবেই ফুলের ব্যবসা করা সম্ভব। পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্ডারের পরিমাণ বড় হয়।
ফুলের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি
ফুলের ধরন ও দোকান/স্টোরের আকারের ভিত্তিতে পুঁজির হেরফের হয়। শুরুতে আপনাকে গড়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে।
ফুলের ব্যবসায় যেমন কর্মী দরকার
ফুলের দোকানগুলোতে সাধারণত দুই ধরনের কর্মীর দরকার হয়:
- কারিগর: ফুলের তোড়া, লহর (বাসর ঘর সাজানোর উপকরণ), পুষ্পস্তবক, ফুল রাখার ঝুড়িসহ বিভিন্ন জিনিস বানানোর কাজ করেন।
- সেলসম্যান: ক্রেতার সাথে দর কষাকষির কাজ করেন।
সাধারণত একেকটি দোকানে ২-৭ জন কর্মী নিযুক্ত থাকেন। কর্মীসংখ্যা নির্ভর করবে আপনার পুঁজি, লাভ ও দোকানের আকারের উপর।
ফুলের ব্যবসায় লাভের পরিমাণ
মূলত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত খুচরা ব্যবসায় ফুলের চাহিদা থাকে। পাইকারি ব্যবসার ক্ষেত্রে এ চাহিদা এপ্রিল পর্যন্ত গড়ায়। এ সময় লাভের পরিমাণ প্রতি মাসে গড়ে ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়।
এপ্রিল-অক্টোবর মাসে ফুলের চাহিদা কম থাকায় মাসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
ফুলের ব্যবসা করার আগে যে বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখবেন
- ফুলের চালান কোন জায়গা থেকে নিয়ে আসবেন, সে ব্যাপারে আগেভাগে খোঁজ করুন। ঢাকার বহু দোকানে চালান আসে সাভার, যশোর ও জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) থেকে। এক্ষেত্রে সরাসরি ফুল চাষীদের কাছ থেকে ফুল না নিয়ে ফুল সরবরাহকারী কোন ব্যবসায়ীর সাহায্য নিয়ে থাকেন তারা।
- বড় কোন অনুষ্ঠানের জন্য কয়েক লক্ষ টাকার ফুল বিক্রির অর্ডার পাওয়া গেলেও বহু ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স বা ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন না থাকার জন্য তেমন অর্ডার নিতে পারেন না। কাজেই আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করিয়ে নিন।
- প্রকারভেদের ফুলের জন্য আঞ্চলিক নাম ব্যবহার করেন বহু ব্যবসায়ী। কিন্তু বড় অর্ডার পাবার ক্ষেত্রে মূল বৈজ্ঞানিক নামও জানতে হবে।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা
এ লেখার ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন ঢাকার শাহবাগের কয়েকজন ফুল ব্যবসায়ী।