বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বায়োকেমিস্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ আগে তেমন একটা ছিল না। বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি হয়েছে। কাজের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি এক্ষেত্রে পড়াশোনা করার সুযোগও বেড়েছে সময়ের সাথে সাথে।
এক নজরে একজন বায়োকেমিস্ট
বিভাগ: জীববিজ্ঞান, রসায়ন
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম, চুক্তিভিত্তিক
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বেতনসীমা: ৳২০,০০০ – কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ
সম্ভাব্য বয়সসীমা: ২৬ বছর – কাজসাপেক্ষ
মূল স্কিল: জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত জ্ঞান, রসায়নের জ্ঞান
বিশেষ স্কিল: গবেষণার দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যোগাযোগের দক্ষতা, ধৈর্য
বিস্তারিত জানুন
– একজন বায়োকেমিস্ট কোথায় কাজ করেন?
– একজন বায়োকেমিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?
– একজন বায়োকেমিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
– একজন বায়োকেমিস্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
– কোথায় পড়বেন বায়োকেমিস্ট হতে?
– একজন বায়োকেমিস্টের মাসিক আয় কেমন?
– একজন বায়োকেমিস্টের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
একজন বায়োকেমিস্ট কোথায় কাজ করেন?
- ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ
- বায়োটেকনোলজি ফার্ম
- কেমিক্যাল অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি
- হসপিটাল ল্যাবরেটরি, ডায়গনিস্টিক
- স্টোর, পাওয়ার প্ল্যান্ট
- স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট
- রিসার্চ সেন্টার
- হেলথ ডিপার্টমেন্ট
একজন বায়োকেমিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?
প্রতিষ্ঠানভেদে বায়োকেমিস্টের কাজের ধরন বদলে যায়। যেমনঃ
চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ রোগের কারণ অনুসন্ধান এবং তার প্রতিকার/প্রতিষেধক আবিষ্কার।
খাদ্যপ্রকৌশলঃ অপ্রচলিত উৎস থেকে খাদ্যপুষ্টি আহরণের কৌশল আবিষ্কার করা।
কৃষিবিভাগেঃ কৃষিখামারে গাছের চারার উপর কীটনাশকের প্রভাব লক্ষ্য করা ও নতুন জাত আবিষ্কার।
একজন বায়োকেমিস্ট কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
বায়োকেমিস্ট্রিতে এম এস সি / বিএসসি পাস। কেমিস্ট্রি বা ফুড টেকনোলজিতে বিএসসি/ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরাও কাজ করার সুযোগ পাবেন।
একজন বায়োকেমিস্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- বেসিক টেকনিক অব মাইক্রোবায়োলজি
- এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি
- মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি
- ফুট মাইক্রোবায়োলজি
- ডায়াগনিস্টক মাইক্রোবায়োলজি
- এগ্রিকালচার মাইক্রোবায়োলজি
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও এনালিটিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি
- প্লান্ট বায়োটেকনোলজি,
- অ্যানিমেল বায়োটেকনোলজি,
- মাইক্রোবায়াল বায়োটেকনোলজি,
- এনভায়রনমেন্টাল বায়োটেকনোলজি,
- ফুড বায়োটেকনোলজি,
- এগ্রিকালচারাল বায়োটেকনোলজি,
- ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োটেকনোলজি,
- মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস বায়োটেকনোলজি
- অ্যানিমেল সেল টেকনোলজি,
- বায়োপ্রসেস টেকনোলজি অ্যানিমেল সায়েন্স
- বায়োস্ট্যাটিসটিকস,
- মলিকুলার বায়োলজি
কোথায় পড়বেন?
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। যেমন –
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়,
- স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
একজন বায়োকেমিস্টের মাসিক আয় কেমন?
বেতন প্রতিষ্ঠান ভেদে ২০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো। আবার যারা আইসিডিডিআরবি বা আইইডিসিআর-এর মতো গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তাদের বেতন সাধারণত ২৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো।
একজন বায়োকেমিস্টের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
খাদ্য গবেষনা প্রতিষ্ঠান কিংবা ঔষুধ শিল্প- সব জায়গাতেই বায়োকেমিস্টদের চাহিদা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। কাজের অভিজ্ঞতা ও গবেষনায় আগ্রহ নিয়ে লেগে থাকলে এপেশায় খুব সহজেই পদোন্নতি পেয়ে উচ্চপদে পৌছানো সম্ভব যা ভালো আয়ের সম্ভাবনা ও সম্মানের জায়গায় পৌছে দেবে আপনাকে। তাই বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে গবেষনা নির্ভর কোনো পেশায় আসতে চাইলে বায়োকেমিস্টের পেশা হতে পারে অন্যতম।