সুইটমিট মেকার

একজন সুইটমিট মেকার মিষ্টিজাতীয় খাবার (যেমন, চমচম ও দই) প্রস্তুত করেন। বহু আগে থেকে আমাদের দেশে এ পেশা প্রচলিত রয়েছে।

একজন সুইটমিট মেকার কোথায় কাজ করেন?

• হোটেল
• রেস্টুরেন্ট
• ক্যাটারিং সার্ভিস
• মিষ্টি তৈরির দোকান

একজন সুইটমিট মেকারের কাজ কী?

• খাবার তৈরির উপকরণ (যেমন, ময়দা ও চিনি) পরীক্ষা করা;
• খাবার তৈরির সরঞ্জাম প্রস্তুত করা;
• উপযুক্ত পরিমাণে খাবার তৈরির উপকরণ (যেমন, ময়দা, তেল/ঘি ও চিনি) মেশানো;
• ময়দার তালকে নির্দিষ্ট জায়গায় (যেমন, প্যান) রেখে নির্দিষ্ট আকার দেয়া;
• তৈরি মিশ্রণকে ওভেনে ঢুকিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পোড়ানো;
• তৈরি মিশ্রণকে প্রয়োজন অনুযায়ী চিনির সিরাপে ডুবানো;
• খাবারের রং ও স্বাদ ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করা;
• প্রয়োজনে খাবারে আলাদা উপকরণ যোগ করা।

একজন সুইটমিট মেকারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাধারণত প্রয়োজন নেই।

অভিজ্ঞতা: ভালো জায়গায় কাজ পেতে ২ – ৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগতে পারে।

একজন সুইটমিট মেকারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

• রেসিপি অনুযায়ী মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে দক্ষতা;
• ফুড গ্রেড সম্পর্কিত ধারণা;
• পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতনতা;
• ধৈর্য;
• দলের সাথে কাজ করার দক্ষতা।

মিষ্টি তৈরির কাজ কোথায় শেখা যায়?

অধিকাংশ মিষ্টির দোকানে কাজ করার মাধ্যমে এমন খাবার তৈরি করা শেখেন এ পেশাজীবীরা। তবে রান্নাবান্নার উপর বিভিন্ন কোর্সে সাধারণত মিষ্টিজাতীয় খাবার বানানোর পদ্ধতি শেখানো হয়। যেমন, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশে খাবার তৈরি ও রান্নার উপর কয়েক মেয়াদের কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

একজন সুইটমিট মেকারের মাসিক আয় কেমন?

এ পেশায় গড়ে ৳১০,০০০ – ৳২০,০০০ আয় করতে পারবেন। বড় হোটেলগুলোর কিচেনে কাজের ক্ষেত্রে মাসিক ৳৩০,০০০ – ৳৩৫,০০০ পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব।