তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ ডাটা তৈরি হয়। এসব ডাটার রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। এ কাজে একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট নিয়োজিত থাকেন।
এক নজরে একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট
সাধারণ পদবী: সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট, সিস্টেম সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট, ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্টবিভাগ: তথ্যপ্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম
লেভেল: মিড
মিড লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: ২ – ৩ বছর
মিড লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳৩৫,০০০ – ৳৪৫,০০০
মিড লেভেলে সম্ভাব্য বয়স: ৩০ – ৪০ বছর
মূল স্কিল: কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞান, সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যোগাযোগের দক্ষতা, মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা
বিস্তারিত জানুন
- একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট কোথায় কাজ করেন?
- একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?
- একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
- একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- কোথায় পড়বেন সাইবার নিরাপত্তা?
- একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের মাসিক আয় কেমন?
একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট কোথায় কাজ করেন?
আমাদের দেশে এ পদ তুলনামূলকভাবে নতুন। এছাড়া, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যথেষ্ট ব্যয়বহুল কাজ। তাই সাধারণত বড় প্রতিষ্ঠান ও প্রজেক্টগুলোতে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়ঃ
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে বা প্রজেক্টে, যেমনঃ সরকারি ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট, মেইনটেন্যান্স ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট খাতে;
- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, যেমনঃ এনজিওর ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট, মেইনটেন্যান্স ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট খাতে;
- ব্যাংক ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানে;
- টেলিকম কোম্পানিতে;
- আইটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে;
- আউটসোর্সিং ফার্মে।
একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?
- প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সিস্টেমের নিরাপত্তা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা;
- বিদ্যমান অ্যাপ্লিকেশন ও প্রজেক্ট আপডেট করা;
- প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম সম্ভাব্য কোন ধরনের ঝুঁকিতে থাকতে পারে, সে ব্যাপারে গবেষণা করা;
- সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় কোন ধরনের প্রযুক্তি ও ব্যবস্থা দরকার হবে, তার উপর পরিকল্পনা তৈরি;
- সিস্টেমে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা পরীক্ষা করা ও দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া;
- আইটি দলের প্রোগ্রামার ও ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কাজের সমন্বয় করা;
- কর্মস্থলে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান।
একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকা লাগে?
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সাধারণত সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট পদে কাজ করার জন্য ইনফরমেশন টেকনোলজি বা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকা লাগে। এছাড়া ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম সিকিউরিটির উপর কোর্স করা থাকলে চাকরিক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়।
বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ৩০ বছর হতে হবে।
অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। সাধারণত ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে আসে।
কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয় একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের?
- সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের ধারণা;
- ডাটাবেইজ ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা;
- সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান;
- টেকনিক্যাল অডিট পরিচালনার দক্ষতা;
- রিপোর্ট তৈরির দক্ষতা;
- পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা;
- বিশ্লেষণী ক্ষমতা;
- সমস্যা সমাধানের দক্ষতা;
- সময় ব্যবস্থাপনা;
- দলের অন্যান্য কর্মীর সাথে দক্ষভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারা।
একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টকে প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তনশীল ইনফরমেশন খাতের সাথে নিজেকে আপডেটেড রাখা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, কাজের ধরন সংবেদনশীল হবার কারণে মানসিক চাপ সামলে কাজ করতে ক্ষমতা থাকতে হবে।
কোথায় পড়বেন সাইবার নিরাপত্তা?
বাংলাদেশের অধিকাংশ পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তির উপর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নিতে পারেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেমনঃ
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস
- ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
- ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ
- স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ
একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের মাসিক আয় কেমন?
একজন সাইবার সিকিউরিটি অ্যানালিস্টের বেতন সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ওপর। মিড লেভেলের এ পদে গড়ে ৳৪০,০০০ আয় করতে পারেন। অবশ্য বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে আয় আরো বেশি।