নকশিকাঁথা হলো সুতি কাপড়ের উপর কারুকাজ করা এক ধরনের কাঁথা। সাধারণত গ্রামের মহিলারা তাদের অবসর সময়ে এমন কাঁথা বানান। একজন নকশিকাঁথা কারিগর এক একটি কাঁথা বানাতে প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত কাজ করেন। দল বেঁধে কাজ করার ক্ষেত্রে ১৫ – ২০ দিন লাগে।
এক নজরে একজন নকশিকাঁথা কারিগর
বিভাগ: ইনফর্মাল (কুটিরশিল্প)প্রতিষ্ঠানের ধরন: প্রযোজ্য নয়
ক্যারিয়ারের ধরন: প্রযোজ্য নয়
লেভেল: প্রযোজ্য নয়
সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: প্রযোজ্য নয়
সম্ভাব্য আয়: ৳১০০০ – ৳৫,০০০/নকশিকাঁথা
সম্ভাব্য বয়স সীমা: প্রযোজ্য নয়
মূল স্কিল: কাঁথা সেলাইয়ের দক্ষতা, সুতা ও কাপড়ের মান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা
বিশেষ স্কিল: ধৈর্য
নকশিকাঁথা কারিগরের পেশা সম্পর্কিত প্রশ্ন
একজন নকশিকাঁথা কারিগর কোথায় কাজ করেন?
নকশিকাঁথা যারা বানিয়ে থাকেন, তারা সাধারণত আত্মকর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজ শুরু করেন। এর জন্য অনেক সময় গ্রামের মহিলারা সংগঠিত হন।
একজন নকশিকাঁথা কারিগর কী ধরনের কাজ করেন?
- কাপড় (যেমন: শাড়ি, লুঙ্গি) সংগ্রহ করা;
- স্তর করা কাপড়ের উপর প্রাথমিক নকশা এঁকে নেয়া;
- সুঁই-সুতা দিয়ে কাপড়ে নকশা তোলা।
শখের বশে নকশিকাঁথা তৈরির ক্ষেত্রে পুরানো কাপড় ব্যবহার করা হলেও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বানানো কাঁথায় নতুন কাপড় ব্যবহার করেন কারিগররা।
একজন নকশিকাঁথা কারিগরের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
নকশিকাঁথা কারিগর হবার জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স আর অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।
একজন নকশিকাঁথা কারিগরের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
- সেলাই করার দক্ষতা;
- নকশা সম্পর্কিত ধারণা;
- ধৈর্য।
নকশিকাঁথা বানানোর কাজ কোথায় শেখা যায়?
গ্রামাঞ্চলে সাধারণত মহিলারা একজন আরেকজনের কাছ থেকে নকশিকাঁথা বানানোর কাজ শিখে নেন। কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক সংগঠনগুলো প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে।
একজন নকশিকাঁথা কারিগরের আয় কেমন?
একেকটি নকশিকাঁথা থেকে এর কারিগর গড়ে ৳২,০০০ – ৳৫,০০০ উপার্জন করে থাকেন।