একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ার পানির ভৌত অবস্থা নিয়ে গবেষনা ও উন্নয়নের কাজ করে থাকেন। বন্যা নিয়ন্ত্রন, কৃষি জমির সেচ প্রকল্প, নদী ভাংগন রোধে বাঁধ, নদী শাসন বিষয়ক গবেষনা-উন্নয়ন ও প্রকল্পের নকশা প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বও একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারের। নদী মাতৃক বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারিখাতে পানি সম্পদ বিষয়ক সংস্থায় এই পেশার কাজের সুযোগ রয়েছে যা একই সাথে মর্যাদার ও উচ্চ বেতনের তাই এই পেশায়ও আপনি গড়তে পারেন আপনার কাংখিত ক্যারিয়ার।
এক নজরে একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ার
বিভাগ:ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রতিষ্ঠানের ধরন:সরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং, অন্যান্য
ক্যারিয়ারের ধরন:পার্ট টাইম, ফুলটাইম
লেভেল:এন্ট্রি,মিড
সম্ভাব্য বেতনসীমা:৳২৫,০০০ – কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ
সম্ভাব্য বয়সসীমা:কাজসাপেক্ষ
মূল স্কিল:পানিশোধনাগার ,নদী শাসন, শহররক্ষা বাঁধ ও সেচ ব্যবস্থার রক্ষনাবেক্ষন করা
বিশেষ স্কিল:সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
বিস্তারিত জানুন
– একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ার কোন ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন?
– একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ার কী ধরনের কাজ করেন?
– একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
– কোথায় পড়বেন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং?
– একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় কেমন?
– ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারের?
একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ার কোন ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন?
- শহররক্ষা বাঁধ প্রকল্প;
- সেচ প্রকল্প;
- নদী শাসন ও সেতু বিভাগ;
- পানি শোধনাগার;
- ওয়াটার সাপ্লাই অথরিটি;
- পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ।
একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ার কী ধরনের কাজ করেন?
- নদী ড্রেজিং;
- বন্যা নিয়ন্ত্রন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা;
- শহর রক্ষা বাঁধ নির্মান;
- কৃষিজমি সেচ;
- যন্ত্রপাতি ক্রয়;
- সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা;
- নদীর তীর সংরক্ষণ;
- সুপেয় পানির শোধনাগার;
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার পানি পরীক্ষা ও চাষ উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া।
একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?
মৌলিক গণিত, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও আইটি বিষয়ক জ্ঞান ছাড়াও নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা থাকা ভালোঃ
- বেসিন ম্যানেজমেন্ট;
- ক্লাইমেটোলজি;
- হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার;
- গ্রাউন্ড ওয়াটার এন্ড ইরিগেশন ইঞ্জিনিয়ারিং;
- কোষ্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং;
- রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং;
- হাইড্রোলিক এন্ড হাইড্রোলজি;
এছাড়া কিছু প্রয়োজনী মডেলিং সফটওয়ার জানা থাকা ভালো যেমনঃ
- R Studio;
- ArcGIS;
- QGIS;
- HEC-RAS;
- HEC-GeoRAS;
- HEC-HMS;
- GeoSWMM
কোথায় পড়বেন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং?
ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেণ্টের অধিভুক্ত অবস্থায় অনেক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ানো হয়। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ন পৃথক অনুষদে ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় এবং বিএসসি ডিগ্রি দেয়া হয়, যেমন-
- ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেণ্ট, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়;
- ডিপার্টমেন্ট অফ এনভার্মেন্টাল, ওয়াটার রিসোর্স এন্ড কোস্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি।।
একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় কেমন?
সরকারী প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি শুরু করলে এই পেশায় মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় হতে পারে। কাজের ধরন ও প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী এই আয় আরও বাড়তে পারে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করে মাসে লক্ষাধিক টাকাও আয় করে থাকেন।
ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে একজন ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারের?
পানি সম্পদ প্রকৌশল বর্তমানে অত্যন্ত চাহিদা সম্পন্ন একটি পেশা। উন্নত কারিগরি প্রশিক্ষন, বিশেষায়িত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকলে এপেশায় আয় করার পাশাপাশি আছে সম্মান ও মর্যাদার সম্ভাবনা।নদীবহুল এদেশে নদীর অবকাঠামো নির্মান, পানি শোধনাগার সহ বহু ক্ষেত্রেই এইপেশার লোকেদের রয়েছে চাকরির অমিত সম্ভাবনা তাই এই পেশায় গড়ে তুলতে পারেন আপনার কাংখিত ক্যারিয়ার।