দোকান খোলার চ্যালেঞ্জ কী কী?

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হঠাৎ ফুরিয়ে গেলে আমরা যেমন বাসার পাশের মুদি দোকানে যাই, তেমনি আমাদের মাসিক বাজারও করে ফেলতে পারি একই দোকান থেকে। ব্যাপারটা আমাদের কাছে এত স্বাভাবিক যে খুব কম সময় এর ব্যবসায়িক দিক নিয়ে আমরা চিন্তা করি। একটা দোকান চালানো বেশ কঠিন কাজ, সেটা ছোট আকারের মুদি দোকান হোক বা বড় কোন চেইন শপ হোক। আমাদের দেশে দোকান খোলার চ্যালেঞ্জ কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে একটা ধারণা নিন।

পুঁজি

যেকোন ব্যবসায়িক উদ্যোগে প্রথমে দরকার পুঁজি। এর উপর নির্ভর করে আপনার পরবর্তী পরিকল্পনা। তাই দোকান খোলার আগে আপনাকে এর অর্থায়ন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা ছাড়া এমন উদ্যোগ আপনি নিতে যাবেন না।

রেজিস্ট্রেশন ও ট্রেড লাইসেন্স

নিজের দোকানের জন্য আপনাকে একটি আকর্ষণীয় মৌলিক নাম বের করতে হবে। এরপর দোকানের রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স পাবেন। আইনগত এ ধাপগুলো পার করা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

জায়গা নির্বাচন

উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের উপর আপনার পণ্য কেনা-বেচা প্রায় পুরোটাই নির্ভরশীল। সহজে ক্রেতাদের চোখে পড়ে, এমন জায়গায় দোকান স্থাপন এবং সে অনুযায়ী পণ্য প্রদর্শন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিযোগিতা

দোকানের দীর্ঘমেয়াদী লাভ নিশ্চিত করার জন্য আপনার প্রয়োজন ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা। আশেপাশের ক্রেতাদের চাহিদা আর আয়ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যের মান ও দাম নির্ধারণ করার মাধ্যমে আপনি বেচাকেনা বাড়াতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, এলাকার অন্যান্য দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়িক জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই।

Leave a Comment