একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রেকর্ড সংরক্ষণকারী অনুমোদনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এই পেশায় কর্মরত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নিয়োগ, রেকর্ড এবং কর্মীদের তালিকা,মূল্যায়ন,নিবন্ধন এবং স্নাতকের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
সাধারণ পদবী: বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার
বিভাগ: শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ধরন: সরকারি/ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যারিয়ারের ধরন: পার্ট টাইম/ ফুল টাইম
লেভেল: মিড
অভিজ্ঞতা সীমা: কাজের ধরন ও প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষে
সম্ভাব্য বেতন সীমা: ৳১৮০০০-৳২২৫০০ কাজের ধরন ও প্রতিষ্ঠান সাপেক্ষে।
সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২৫ বা উর্ধ্বে
মূল স্কিল: হিসাব ও তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ
কোন ধরনের সংস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাজ করে থাকেন?
- সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কি ধরনের কাজ থাকেন?
- ছাত্রদের বিভিন্ন একাডেমিক রেকর্ড সংরক্ষন
- বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিদাতা
- কর্মীদের তালিকা নিবন্ধন, মূল্যায়ন
- স্নাতকের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
- ক্লাসের সময়সূচী প্রক্রিয়া করে, ক্লাস তালিকা বজায় রাখা, এবং গ্রেড ও মার্কের স্থায়ী রেকর্ড সংরক্ষণ।
কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের?
বাংলাদেশের সরকার স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিএ, ব্যবসা প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, অর্থনীতি,ফিন্যান্স ও বাংকিং, এমবিএ বিবিএ ইত্যাদি বিষয়ে গ্রায়ুয়েটরা এ পেশায় আসতে পারেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
- University of Dhaka
- University of Chittagong
- University of Rajshahi etc.
কী ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হয় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের?
ভালো ফলাফল ও ডিগ্রির পাশাপাশি একজন রেজিস্ট্রারের যে ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা উচিত সেগুলো হলঃ
- আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব
- রেকর্ড তৈরি এবং নিবন্ধন মূল্যায়নে নির্ভুলতা
- প্রেজেন্টেশনে দক্ষতা
- লিখিত ও মৌখিক যোগাযোগে দক্ষতা
- বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় পরিপূর্ণ দখল
- সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ কেমন?
একজন ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রারের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।সকল প্রকার সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, এনজিও, ব্যাংক বীমা কর্পোরেশনে, ব্যাংকগুলোতে, বহুজাতিক সমবায় সমিতি এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোতে। এছাড়াও সরকারি প্রদাণ বিভাগে কাজের সুযোগ অনেক বেড়ে যাওয়াতে এপেশায় ভালো কাজ করার অভিজ্ঞতা,দক্ষতা ও সততাকে কাজে লাগিয়ে পদোন্নতি পেয়ে সিইও পর্যন্ত হওয়া সম্ভব,সেই সাথে রয়েছে উন্নত আয়ের সম্ভাবনা।